শিশু প্রতিপালনে পিতা-মাতার দক্ষতা

   


  শিশু প্রতিপালনে পিতা-মাতার দক্ষতা

শিশু প্রতিপালন হচ্ছে প্রতিটি শিশুর শারীরিক বুদ্ধিবৃত্তিক ভাষা ও মনো-সামাজিক  বিকাশ সাধনে একটি  সহায়ক  প্রক্রিয়া। প্রতিটি শিশুর রক্তের সম্পর্কই শুধু নয় প্রতিপালনের পাশাপাশি তার বেড়ে ওঠা সকল বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে থাকে।  শিশু দত্তক নিয়েও  অনেক প্রতিপালন কারী  ভালোভাবে প্রতিপালন করে থাকে। অনেক অনাথ শিশুরা এভাবে  প্রতিপালিত  হয়ে  আসছে।


বর্তমান বিশ্বে শিশু প্রতিপালন দক্ষতা অর্জনের বিষয়টি অত্যন্ত  বিবেচনার সাথে দেখা হয় ।তাই শিশু প্রতিপালন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাবা-মা, শিশু পরিচর্চার কারীগণ আত্মসচেতন হতে পারে। শিশু ও পরিচর্চা কারীর মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের দক্ষতা অর্জন করে এবং একটি  সম্পর্ক উন্নয়ন বজায় রাখার দক্ষতা অর্জন করে। এতে শিশুর চিন্তা-চেতনা ও আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একান্ত প্রয়োজন ।


আমরা বর্তমানে যে পরিবেশে বসবাস করছি সেখানে সঠিক প্রক্রিয়ায় শিশু প্রতিপালন করা দিন দিন বেশ কঠিন এবং জটিল হয়ে উঠেছে। শিশু প্রতিপালনে  অপসংস্কৃতি, আধুনিকতার প্রভাব, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব, বিভিন্ন বিষয় পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব প্রতিফলনে বিদ্রুপ প্রভাব ফেলছে। তাই বর্তমানের এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রতিটি শিশু লালন পালনের জন্য যে দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন  সে টি খুবিই গুরুত্বপূর্ণ।


  বর্তমান সমাজে শিশু প্রতিপালন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুর পিতা মাতা, কেয়ারগিভার  বুঝতে সক্ষম হন কিভাবে তারা আরো ভালো পিতা-মাতা হতে পারেন এবং পরিচর্যাকারী হতে পারেন।প্যারেন্টিং প্রশিক্ষণ গ্রহনের ফলে  পিতামাতা ও সন্তানদের মধ্যে উৎসাহ এবং সম্পর্ক উন্নয়নে দক্ষতা বাড়ে।তাই প্যারেন্টিং প্রশিক্ষণ সঠিক পদ্ধতি বেছে নিতে এবংবিকল্প উপায়ে অবলম্বনে দক্ষতা বৃদ্ধি করে।



শিশুর প্রতি পালনের স্টাইল ভিন্নতর হওয়ার কিছু কারণ


 সংস্কার

 ব্যক্তিত্ব 

পরিবারের আকার 

পরিচর্যাকারীর নিজে কোন প্রক্রিয়ায় প্রতিপালিত হয়েছে তার পটভূমি 

আর্থসামাজিক অবস্থা

 প্রশিক্ষণ 

জুটির প্রভাব 

সরকারি নীতিমালা 

মানসিক চাপ

 বয়স

 ধর্ম 

শিক্ষা


 প্রত্যেকটি পরিবারের পরিচর্যাকারীর নিজের চিন্তা ভাবনা এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর প্রতিপালনের দায়িত্ব নিজেরা গ্রহণ করতে পারে যেমন মা হয়তো দায়িত্বশীল হতে পারে কিন্তু বাবা হয়তো একটু মেনে নেয়ার মনোভাব অর্জন করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা নিজেদের মধ্যে সুন্দর একটি বোঝাপড়ার মাধ্যমে  সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সঠিকভাবে শিশুর প্রতি পালনের চর্চা করতে পারে।


Post a Comment

0 Comments