নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করণে অগ্রণী ভুমিকায় “ ফা: ভ্যালেরিয়ানো কব্বে হ্যান্ডিক্যাফট্

 


নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করণে অগ্রণী ভুমিকায় “ ফা: ভ্যালেরিয়ানো কব্বে হ্যান্ডিক্যাফট্ ”


শ্রমে – ঘামে, সভ্যতা ও সমৃদ্ধি, রক্তে ও জীবনের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে স্বাচ্ছন্দময় সোনার শিমুলিয়া । যশোর জেলায় অন্তগত ঝিকরগাছা থানার প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শিমুলিয়া গ্রামটি অবস্থিত। দিন, মাস, বছর অতিক্রম করে বিভিন্ন মিশনারিগণ এখানে খ্রীষ্ট বাণী প্রচার করে যাচ্ছেন।

মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা বোধ, সৃজনশীলতা, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে মানুষ আলোকিত। আদর্শ সুনাগরিক গঠনে ফা: ভ্যালেরিয়ানো কব্বে এস.এক্স কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি আধুনিকতার ছোঁয়ায় রঙিন করে তুলেছেন শিমুলিয়াকে।

অর্থনৈতিক ভাবে উন্নয়ন না হলে আর্থিক মুক্তি আসে না। এরই ফল শ্রুতিতে ফা:ভ্যালেরিয়ানো কব্বে এস.এক্স গ্রামের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি যেন, নারীরাও সমাজে অর্থনৈতিক কার্যে নিজেদের ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ১৯৭৪ খ্রীষ্টাব্দে শিমুলিয়ার মাটিতে একটি হস্তশিল্প স্থাপন করেন । প্রথমে মহিলাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাটের সোনালী আঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য সামগ্রী তৈরিতে সহায়তা করা হত। পরবর্তীতে হস্তশিল্পে খেজুরের পাতা ও খড় দিয়ে ‍বিভিন্ন ধরণের সৌন্দর্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয়। এই সামগ্রী গুলি দেশ ও বিদেশে ( ইউরোপ ও আমেরিকা ) রপ্তানি করে যে অর্থ উপার্জন করা হয় তা উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যায় করা হয়। শ্রমজীবি মানুষেরা উপার্জিত অর্থ ‍দিয়ে পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি ক্রয় করে এবং অদুর ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে নিজ সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয় করেন।

বর্তমানে হস্তশিল্পটির নামকরণ করা হয়েছে ফা: ভ্যালেরিয়ানো কব্বে হস্তশিল্প এবং প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে আছেন মিশনারি সিস্টারস্ অফ চ্যারিটি সম্প্রদায়ের সিস্টারগন। এই প্রতিষ্ঠানে অত্র এলাকার নারীরা আর্থিক সফলতা লাভ করছে । উল্লেখযোগ্য অসংখ্য দরিদ্র পরিবাবের নারী-পুরুষ , দুস্থ নারী ও বিধবা মহিলারাও এখন এই পেশায় সংযুক্ত হয়ে তাদের অনেকেই বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

 

Post a Comment

0 Comments