শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা

       শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা

  শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা

শিশু অধিকার বলতে আমরা বুঝি, মান সম্মত ভাবে বেঁচে থাকা এবং পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার জন্য  শিশুর যেসব সুযোগ-সুবিধা নীতিগতভাবে প্রাপ্য এবং আইন ও বিধি বিধান দ্বারা স্বীকৃত সেটাই শিশু অধিকার। প্রতিটি শিশুর শিশু অধিকার একটি মৌলিক স্বাধীনতা এবং 18 বছর বয়সের নিচে সকল মানব সন্তানের একটি জন্মগত অধিকার। প্রতিটি শিশুর পিতা-মাতা হচ্ছে আইনগত  অভিভাবক জাতি বর্ণ ধর্ম এবং অন্যান্য অবস্থাভেদে সকল শিশুর ক্ষেত্রে এই অধিকার প্রযোজ্য। প্রতিটি শিশুর জন্য সুযোগ-সুবিধাগুলো গুণগতমান কিরূপ তাই মুখ্য বিষয়। শুধু তাই নয় ছেলেদের মত মেয়ে শিশুদেরও একই রকম থাকা উচিত এবং একই ধরনের জীবন-মান উপভোগের জন্য প্রতিটি শিশুর সুযোগ দেওয়া উচিত। 


শিশু অধিকার গুলো

জন্মগতভাবে প্রতিটি শিশুর স্বাধীন সকল মানব সন্তানের জন্মগতভাবে কিছু অধিকার রয়েছে আর এই আদর্শের উপর ভিত্তি করেই শিশু অধিকার সনদ হয়েছে।


 বৈষম্যহীনতা

 রাজনৈতিক জাতীয়তা গোত্র লিঙ্গ ভাষা ধর্ম অথবা সামাজিক পরিচয় শ্রেণি জন্মসূত্র কিংবা অন্য কোনও মরজাদা নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ কোন প্রশ্ন ছাড়াই সব ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করে।


  শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ

 সরকারি ও বেসরকারি সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান আদালত আইন প্রণয়নকারী বড় হোক না কেন শিশু বিষয়ে কোন ধরনের কার্যক্রম প্রথম এবং প্রধান বিবেচনা করে।


 শিশুর বেঁচে থাকা ও বিকাশ

 প্রত্যেকটি শিশুর অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকা, স্বীকৃতি, প্রত্যেকটি রাষ্ট্র শিশুর বেঁচে থাকা এবং উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব সর্বাধিক ব্যবস্থা  করে। 


 শিশুর অংশগ্রহণ


প্রতিটি শিশু তার মতামত দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, বাস্তবায়ন ,কাজের অংশ নিয়ে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে সকল ক্ষেত্রে শিশুদের অংশগ্রহণ অবশ্যই স্বেচ্ছা প্রণোদিত হতে হবে।


 জবাবদিহিতা

প্রতিটি শিশুর দায়িত্ব বাহককে তার দায়িত্ব পালন বিষয়ে উপকারভোগী বা কারোর উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ব্যবস্থার নাম জবাবদিহিতা। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তার দায়িত্ব পালনের প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন সে প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য থাকবেন। 


Post a Comment

0 Comments